যশোর সদর রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে অনিয়ম দুর্নীতির মহোৎসব। উৎকোচ ছাড়া কোনো কাজ হচ্ছে না এই অফিসে।

মানুষকে এক প্রকার জিম্মি করে এসব টাকা আদায় করা হচ্ছে। আর টাকা না দিলে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

সোমবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

এ সময় তিনি যশোর সদর রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দলিল লেখকদের অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তিও তুলে ধরেন।


শহিদুল ইসলাম মিলন জানান, এসব অনিয়মের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারী লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। যশোর সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারি নুরু যাবতীয় অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। সাব রেজিস্ট্রার কাজী রুহুল আমিন তাকেই এ কাজ তদারকির জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।

কেউ জমি রেজিস্ট্রি করতে আসলে পিয়ন নুরুর সঙ্গে লাইন সাইজ (ঘুষের চুক্তি) করার জন্য বলা হয়। তার ক্লিয়ারেন্স ছাড়া কর্মকতারা জমির রেজিস্ট্রি করেন না।

আবার দুপুর ১টার পরে জমি রেজিস্ট্র করতে হলে লেট ফি হিসেবে ৫০০ টাকা করে গুনতে হয়। এছাড়াও নানা অজুহাতে আদায় করা হয় হাজার হাজার টাকা।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, গত ৭ আগস্ট সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জমি রেজিস্ট্রি করতে গেলে সাব রেজিস্ট্রার কাজী রুহুল আমিন তাকে বলেন পিয়ন নুরুর সঙ্গে ‘লাইন সাইজ’ করেন, তারপর রেজিস্ট্রি করা হবে। এসময় পিয়ন নুরু ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন এবং জানিয়ে দেন টাকা না দিলে জমি রেজিস্ট্র হবে না।  বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিস্ট্রারকের অবহিত করা হয়।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মহুরী ও রেজিস্ট্রি অফিসের কতিপয় স্টাফ এসে তার ওপর চড়াও হন। এসময় দু’জন আহতও হন বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
জমি রেজিস্ট্রি, নামপত্তন, জমির শ্রেণী পত্তনসহ আনুসঙ্গিক কাজের জন্য কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দলিল লেখকদের দিতে হচ্ছে বড় অংকের টাকা।
সাম্প্রতিক সংবাদ সমূহ