কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপকুলীয় সাগর পথ দিয়ে মালয়েশিয়ায় আদম পাচার থামছে না। মাঝে মধ্যে

কক্সবাজার পুলিশের উখিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ বলেন, গত শনিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া থানার দুই দারোগাসহ নিজেই মানব পাচার বিরোধী অভিযানে নেমে পড়ি। উখিয়ার সমুদ্র উপকুলবর্তী মনখালী এলাকা থেকে ৪ পাচারকারী দালালসহ ৩৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয় মনখালী গ্রামের মানব পাচারকালী দালাল বশরত আলী ছেলে মো. হোছন ও পার্শ্ববর্তী নুরুল কবির, ফায়সাল এবং আব্দু রাজ্জাকের বাড়ি তল্লাশি করে ৩০ জনকে আটক করা হয়।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টেকনাফ বিজিবি'র সদস্যরা টেকনাফের নয়াপাড়া হারিয়াখালী এলাকায় একটি নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে শুকনো খাবারসহ ১৭ জনকে উদ্ধর করে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।

টেকনাফ কোষ্টগার্ড ষ্টেশন ইনচার্জ মামুন জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জেলার ১৩ জনকে আটক করা হয়। আটক সবাইকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

আজ ভোর রাতে টেকনাফ বিজিবির সদস্যরা গোলাপাড়া চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ জন মালয়েশিয়াগামী যাত্রীকে আটক করা হয়েছে বলে টেকনাফ ৪২ বিজিবির (ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক) মেজর শফিকুর রহমান জানিয়েছেন।
বিজিবি, নৌ বাহিনী, কোষ্টগার্ড ও পুলিশ হানা দিয়ে মালয়েশিয়াগামী যাত্রী ও দালালদের আটক করলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবার আদম পাচার চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারী চক্র। আজ সোমবার ভোরে টেকনাফ বিজিবির সদস্যরা গোলাপাড়া চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ জন মালয়েশিয়াগামী যাত্রীকে আটক করেছে। এর আগে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশ উখিয়া ও টেকনাফ উপকুলীয় এলাকা থেকে ৪ দালালসহ ৬৮ মালয়েশিয়াগামী যাত্রীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালেশিয়া যাওয়ার পথে সমুদ্রে অনেকের সলীল সমাধি ও বিদেশের কারাগারে অনেক যাত্রী আটক হলেও কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকাকে পাচারকারী চক্রের গডফাদারেরা নিরাপদ রোড হিসাবে ব্যবহার করে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত তাদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে মালেশিয়াগামী যাত্রী আটক হলেও পুলিশ তাদেরকে বিনা শর্তে ছেড়ে দেয়ায় তারা ফের দালালের খপ্পরে পড়ে সীমান্ত এলাকায় জড়ো হয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি জমায়।

সাম্প্রতিক সংবাদ সমূহ