অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জর্জারিত যশোর জেলা আনসার/ভিডিপি অফিসে ঘুষ-বানিজ্যের মহোৎসব চলছে। জেলা কমান্ড্যান্ট নাজিমুজ্জামান যোগদানের পর প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সাধারণ সিপাহী থকে শুরু করে জেলা কমান্ড্যান্ট নাজিমুজ্জামান এর বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ লেন-দেনসহ লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে অনেকে আজ গাড়ি-বাড়ির মালিক বনে গেছেন। এখানে আরো এক ক্ষমতাধর ব্যাক্তির সন্ধান মেলেছে তিনি হচ্ছেন, মনিটর (মাঠকর্মী) সহিদুল ইসলাম। যিনি মনিটরিং করার নামে জড়িয়ে পড়েছেন দুর্নীতির বোজালে। তিনিও টিআই সদর উদ্দিনের সাথে যোগসাজসে গ্রাম-গঞ্জের সহজ সরল মানুষকে ধোকা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এদের নেতৃত্বে গোটা অফিস জুড়ে ঘুষ বানিজ্যের মহোৎসব চললেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের যেন কেউ নেই। আর এরা সরাসরি জেলা কমান্ড্যান্ট এর লোক বিধায় ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুলতেও সাহষ পাচ্ছেননা। এখানে নিয়মকে অনিয়ম আর অনিয়মকে নিয়ম বলে বোঝানোসহ বহুবিধ আইন দেখানো হয়। এদিকে টিআই সদর উদ্দিনসহ দুর্নীতিবাজদের এহেন কর্মকান্ডে অসন্তোষ বিরাজ করছে গোটা আনসার/ভিডিপি সদস্যদের মধ্যে। তবে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন,অদক্ষসহ অনেকের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছেনা। ফলে একটি কুচক্রিমহল তাদের অনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে তার বিরুদ্ধে নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

অভিযোগে জানাযায়,যশোর জেলা আনসার অফিসে ইতিপূর্বে যারা অ্যাডজুডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কর্মকান্ডের সাথে বর্তমানে কর্মরত জেলা কমান্ড্যান্ট নাজিমুজ্জামান এর কর্মকান্ড একেবারে আলাদা। লাগামহীন দুর্নীতি আর অনিয়ম এর অভিযোগে সম্প্রতি জেলা কমান্ড্যান্ট কেএম মনিরুল ইসলামকে অনাত্র বদলী করা হলেও তার তলপিবাহক টিআই সদর উদ্দিনের কারণে আনসার অফিসে ঘুষ বানিজ্যসহ অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। চাকরী পাওয়াতো দুরে থাক সামান্য বুদিয়াদী প্রশিক্ষণ নিতেই আগে যারা ৫থেকে ৭হাজার টাকার প্রশিক্ষণ নিতে পারতো সেটা এখন আর সম্ভব হচ্ছেনা। প্রায় সকল প্রশিক্ষণ নিতে প্রত্যেককে ৫গুন হারে উৎকোচ দিতে হচ্ছে। আগামী ২নভেম্বর ৬৫জনের ৫৬দিনের এক মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হবে এজন্য এবার ৩০/৩৫ হাজার টাকা হারে আদায় চলছে। বরাবরের মত এবারেও সরাসরি এটাকা টিআই সদর উদ্দিনের মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে। টিআই সদর উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছায় হওয়ায় তার গ্রামের বাসিন্দা আনসার পিসি হযরত আলীসহ বেশ কয়েকজন পিসি প্রশিক্ষণ নিতে আসা লোক ও টাকা সংগ্রহ করার দায়িত্ব পালন করছেন। এই অফিসের জেলা কমান্ড্যান্ট এর পরই একমাত্র টিআই সদর উদ্দিনই দায়িত্ব পালন করচ্ছেন। ঘুষ বানিজ্যের এবিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট।

অভিযোগ রয়েছে,পূর্বে থেকেই টিআই সদর উদ্দিন একটি মোটর সাইকেলে চড়ে জেলার ৮টি উপজেলায় যতগুলো আনছার/ভিডিপি অফিস, ক্যাম্প বা গার্ড রয়েছে প্রতিটা স্পটে যেয়ে আনছার কমান্ডারদের (পিসি) কাছ থেকে নির্ধারিত মসিক ৫/১০হাজার টাকার পাশাপশি বিভিন্ন প্রকার ভয় দেখিয়ে জেলা কমান্ড্যান্ট এর নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করে আসচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্পটে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিতে ৫০/৬০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। সেটা আগের অফিসাররা নিতো ৫থেকে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত। বর্তমান জেলা কমান্ড্যান্ট চলতি বছরের ৫ আগষ্ট (মাত্র দুই মাস) যোগদান করার পর থেকেই সকল অনিয়ম বাসা বেধেঁ চলেছে। স্মার্টকার্ড (আইডিকার্ড) তথ্য ফরম পূরণের জন্য এক হাজার হারে আদায় করা হচ্ছে। অনাত্র বদলী বা বদলী বাতিলের জন্য নেয়া হচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। অন্য কোথাও কোন সদস্য চাকরীর সুযোগ পেলে নাদাবিপত্রের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে তাকে ৫‘শ টাকারও বেশী খরচ দিতে হয়। ভেরিভেকেশন (ভিআর) রিপোর্টের ক্ষেত্রেও দিতে হয় ৩‘শ টাকা হারে। রেশনের চাউলের বস্তা বাবদও ৫টাকা হারে কেটে নিয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়,প্রত্যেক আনসার ও পিসিদের একটানা তিন বছর অঙ্গিভূত (কর্মরত) থাকার দু‘বছর অবসরে থাকতে হবে। এরপর পূণরায় সে চাকরী পাবে। প্রতিদিন ২শ‘৩৪হারে বেতনে একজন আনছার সিপাহীর মাসিক আয়  সাত সাড়ে ৭হাজার টাকার মত। সেক্ষেত্রে তিন বছরে উপার্জিত বেতনের অর্থের পরিমান ৯০ হাজারও পৌছেনা। অনিশ্চতার তিন বছরে আড়াই লাখ টাকার উপর্জনের এচাকরী পেতে একজন ব্যাক্তিকে লাখ টাকা খরচ করেও নানাবিধ হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন কলা-কৌশলে আদায় করা হয় তাদের বেতনের টাকা। ফলে তারা বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। দুর্নীতি নির্ভর আনসার অফিসে নিয়ম বর্হিভূত সকল কর্মকান্ড অর্থের বিনিময়ে বৈধ হয়ে যাচ্ছে। যার প্রমাণ মেলেছে আগামী ২নভেম্বর ৬৫জনের যে ৫৬দিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে সে সকল ব্যাক্তির কাছ থেকে এবার ৩০/৩৫ হাজার টাকা হারে আদায় চলছে। জেলা কমান্ড্যান্ট নাজিমুজ্জামান যোগদানের এক মাসের মাথায় ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ২১দিনের ট্রেনিংপ্রাপ্ত মনিরামপুরের বিল্লাল নামের এক সিপাহীকে চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করানো হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর তাকে প্যানেলে অর্ন্তভূক্তি করা হলে সিপাহী বিল্লাল ১৭ সেপ্টেম্বর টিআই সদর উদ্দিনকে ২৫ হাজার টাকা দিলে তিনি তাকে ২৩ সেপ্টেম্বর ডিও সিসি দিয়ে চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করার ব্যবস্থা করা হয়। শানতলার নরদান হ্যাচারীর আনসার সিপাহী মফিজকে ৪ সেপ্টেম্বর বেনাপোল র্পোটে বদলী করা হয় এবং ৩হাজার টাকার বিনিময়ে তার বদলী বাতিল করে খোলাডাঙ্গা বাফার সার গোডাউনে ১৭ সেপ্টেম্বর যোগদান দেওয়া হয়। এই ১৪দিন তার বেতন ও রেশন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে চাইলে গোট অফিসে জুড়ে নানামুখি তৎপরতার এক পর্যায়ে হজম হয়ে যাওয়া তার পাওনা রেশন ৩ অক্টোবর ফেরত দেয়া হয়। কিন্তু বেতন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রতি ৭ জন ভিডিপি সদস্যকে ৩০ হাজার টাকা হারে ঘুষ নিয়ে বিভিন্ন পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকে যোগদান দেওয়া হয়। এই ৭ জনের মধ্যে ২জন মনিটর শহিদুলের লোক বাকি ৫ জন টিআই সদর উদ্দিনের লোক। এভাবে আনসার অফিসের দুর্নীতি পরায়ন ব্যাক্তিরা যোগসাজসে কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে যার প্রতিবাদ করার কেউ নেই।

এব্যাপারে জেলা কমান্ড্যান্ট নাজিমুজ্জামান এর সাথে অফিস টেলিফোন ও মোবাইলে কথা বললে তিনি ঘুষের রেটের কথা এড়িয়ে যেয়ে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন,অদক্ষসহ অনেকের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছেনা। ফলে একটি কুচক্রিমহল তাদের অনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে তার বিরুদ্ধে নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
টিআই সদর উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে ঘুষের কথা এড়িয়ে যেয়ে বলেন আমি কারো কাজ থেকে টাকা নেয়া হয়নি।সিপাহী মফিজ এর ১৪দিনের বেতন ও রেশন প্রসঙ্গে তিনি জানান ৩ অক্টোবর তার পাওনা রেশন দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিতে আসা লোক ও টাকা সংগ্রহ করার দায়িত্ব পালনকারী আনসার পিসি হযরত আলী সম্পর্কে বলেন সেটা তার ব্যাপার আমি তাকে প্রশিক্ষণের জন্য কোন লোক সংগ্রহ করতে বলেনি। হযরত টাকা নিয়ে থাকলে সে দায়িত্ব তার।

আনসার পিসি হযরত আলীর সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি সাংবাদিক বুঁজতে নাপেরে বলে ফেলেন এখন ৩৫ হাজারের কমে আর প্রশিক্ষণের জন্য লোক নেওয়া হবেনা। কয়েকদিন আগে এলে ৩০ হাজারে হতো। লোক দিতে হলে আর দেরী করলে টাকার অংক আরো বেড়ে যাবে।
মনিটর (মাটকর্মী) সহিদুল ইসলাম জানান এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবনা বললে আমার চাকরী থাকবেনা। তবে আনসার অফিসে টাকার লেন-দেন নতুন কিছুনা। সম্প্রতি বদলী হওয়া জেলা কমান্ড্যান্ট কেএম মনিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থনৈতিক লেন-দেনসহ লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ফলে তাকে অনাত্র বদলী করা হয়েছে।

নবাগত সদর সার্কেল অফিসার মিরাজুল ইসলাম বলেছেন, আমি নতুন এসেছি কেবল ৪/৫দিন হচ্ছে এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমি আসার আগে এপদের দায়িত্ব পালন করেন টিআই সদর উদ্দিন। তিনিই বলতে পারেন সব বিষয়ে। - See more at: http://www.fairnews24.com/details.php?id=3429#sthash.3KMC5OKA.dpuf
অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জর্জারিত যশোর জেলা আনসার/ভিডিপি অফিসে ঘুষ-বানিজ্যের মহোৎসব চলছে। জেলা কমান্ড্যান্ট নাজিমুজ্জামান যোগদানের পর প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সাধারণ সিপাহী থকে শুরু করে জেলা কমান্ড্যান্ট নাজিমুজ্জামান এর বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ লেন-দেনসহ লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে অনেকে আজ গাড়ি-বাড়ির মালিক বনে গেছেন। এখানে আরো এক ক্ষমতাধর ব্যাক্তির সন্ধান মেলেছে তিনি হচ্ছেন, মনিটর (মাঠকর্মী) সহিদুল ইসলাম। যিনি মনিটরিং করার নামে জড়িয়ে পড়েছেন দুর্নীতির বোজালে। তিনিও টিআই সদর উদ্দিনের সাথে যোগসাজসে গ্রাম-গঞ্জের সহজ সরল মানুষকে ধোকা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এদের নেতৃত্বে গোটা অফিস জুড়ে ঘুষ বানিজ্যের মহোৎসব চললেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের যেন কেউ নেই। আর এরা সরাসরি জেলা কমান্ড্যান্ট এর লোক বিধায় ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুলতেও সাহষ পাচ্ছেননা। এখানে নিয়মকে অনিয়ম আর অনিয়মকে নিয়ম বলে বোঝানোসহ বহুবিধ আইন দেখানো হয়। এদিকে টিআই সদর উদ্দিনসহ দুর্নীতিবাজদের এহেন কর্মকান্ডে অসন্তোষ বিরাজ করছে গোটা আনসার/ভিডিপি সদস্যদের মধ্যে। তবে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন,অদক্ষসহ অনেকের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছেনা। ফলে একটি কুচক্রিমহল তাদের অনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে তার বিরুদ্ধে নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

অভিযোগে জানাযায়,যশোর জেলা আনসার অফিসে ইতিপূর্বে যারা অ্যাডজুডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কর্মকান্ডের সাথে বর্তমানে কর্মরত জেলা কমান্ড্যান্ট নাজিমুজ্জামান এর কর্মকান্ড একেবারে আলাদা। লাগামহীন দুর্নীতি আর অনিয়ম এর অভিযোগে সম্প্রতি জেলা কমান্ড্যান্ট কেএম মনিরুল ইসলামকে অনাত্র বদলী করা হলেও তার তলপিবাহক টিআই সদর উদ্দিনের কারণে আনসার অফিসে ঘুষ বানিজ্যসহ অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। চাকরী পাওয়াতো দুরে থাক সামান্য বুদিয়াদী প্রশিক্ষণ নিতেই আগে যারা ৫থেকে ৭হাজার টাকার প্রশিক্ষণ নিতে পারতো সেটা এখন আর সম্ভব হচ্ছেনা। প্রায় সকল প্রশিক্ষণ নিতে প্রত্যেককে ৫গুন হারে উৎকোচ দিতে হচ্ছে। আগামী ২নভেম্বর ৬৫জনের ৫৬দিনের এক মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হবে এজন্য এবার ৩০/৩৫ হাজার টাকা হারে আদায় চলছে। বরাবরের মত এবারেও সরাসরি এটাকা টিআই সদর উদ্দিনের মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে। টিআই সদর উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছায় হওয়ায় তার গ্রামের বাসিন্দা আনসার পিসি হযরত আলীসহ বেশ কয়েকজন পিসি প্রশিক্ষণ নিতে আসা লোক ও টাকা সংগ্রহ করার দায়িত্ব পালন করছেন। এই অফিসের জেলা কমান্ড্যান্ট এর পরই একমাত্র টিআই সদর উদ্দিনই দায়িত্ব পালন করচ্ছেন। ঘুষ বানিজ্যের এবিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট।

অভিযোগ রয়েছে,পূর্বে থেকেই টিআই সদর উদ্দিন একটি মোটর সাইকেলে চড়ে জেলার ৮টি উপজেলায় যতগুলো আনছার/ভিডিপি অফিস, ক্যাম্প বা গার্ড রয়েছে প্রতিটা স্পটে যেয়ে আনছার কমান্ডারদের (পিসি) কাছ থেকে নির্ধারিত মসিক ৫/১০হাজার টাকার পাশাপশি বিভিন্ন প্রকার ভয় দেখিয়ে জেলা কমান্ড্যান্ট এর নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করে আসচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্পটে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিতে ৫০/৬০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। সেটা আগের অফিসাররা নিতো ৫থেকে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত। বর্তমান জেলা কমান্ড্যান্ট চলতি বছরের ৫ আগষ্ট (মাত্র দুই মাস) যোগদান করার পর থেকেই সকল অনিয়ম বাসা বেধেঁ চলেছে। স্মার্টকার্ড (আইডিকার্ড) তথ্য ফরম পূরণের জন্য এক হাজার হারে আদায় করা হচ্ছে। অনাত্র বদলী বা বদলী বাতিলের জন্য নেয়া হচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। অন্য কোথাও কোন সদস্য চাকরীর সুযোগ পেলে নাদাবিপত্রের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে তাকে ৫‘শ টাকারও বেশী খরচ দিতে হয়। ভেরিভেকেশন (ভিআর) রিপোর্টের ক্ষেত্রেও দিতে হয় ৩‘শ টাকা হারে। রেশনের চাউলের বস্তা বাবদও ৫টাকা হারে কেটে নিয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়,প্রত্যেক আনসার ও পিসিদের একটানা তিন বছর অঙ্গিভূত (কর্মরত) থাকার দু‘বছর অবসরে থাকতে হবে। এরপর পূণরায় সে চাকরী পাবে। প্রতিদিন ২শ‘৩৪হারে বেতনে একজন আনছার সিপাহীর মাসিক আয়  সাত সাড়ে ৭হাজার টাকার মত। সেক্ষেত্রে তিন বছরে উপার্জিত বেতনের অর্থের পরিমান ৯০ হাজারও পৌছেনা। অনিশ্চতার তিন বছরে আড়াই লাখ টাকার উপর্জনের এচাকরী পেতে একজন ব্যাক্তিকে লাখ টাকা খরচ করেও নানাবিধ হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন কলা-কৌশলে আদায় করা হয় তাদের বেতনের টাকা। ফলে তারা বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। দুর্নীতি নির্ভর আনসার অফিসে নিয়ম বর্হিভূত সকল কর্মকান্ড অর্থের বিনিময়ে বৈধ হয়ে যাচ্ছে। যার প্রমাণ মেলেছে আগামী ২নভেম্বর ৬৫জনের যে ৫৬দিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে সে সকল ব্যাক্তির কাছ থেকে এবার ৩০/৩৫ হাজার টাকা হারে আদায় চলছে। জেলা কমান্ড্যান্ট নাজিমুজ্জামান যোগদানের এক মাসের মাথায় ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ২১দিনের ট্রেনিংপ্রাপ্ত মনিরামপুরের বিল্লাল নামের এক সিপাহীকে চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করানো হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর তাকে প্যানেলে অর্ন্তভূক্তি করা হলে সিপাহী বিল্লাল ১৭ সেপ্টেম্বর টিআই সদর উদ্দিনকে ২৫ হাজার টাকা দিলে তিনি তাকে ২৩ সেপ্টেম্বর ডিও সিসি দিয়ে চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করার ব্যবস্থা করা হয়। শানতলার নরদান হ্যাচারীর আনসার সিপাহী মফিজকে ৪ সেপ্টেম্বর বেনাপোল র্পোটে বদলী করা হয় এবং ৩হাজার টাকার বিনিময়ে তার বদলী বাতিল করে খোলাডাঙ্গা বাফার সার গোডাউনে ১৭ সেপ্টেম্বর যোগদান দেওয়া হয়। এই ১৪দিন তার বেতন ও রেশন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে চাইলে গোট অফিসে জুড়ে নানামুখি তৎপরতার এক পর্যায়ে হজম হয়ে যাওয়া তার পাওনা রেশন ৩ অক্টোবর ফেরত দেয়া হয়। কিন্তু বেতন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রতি ৭ জন ভিডিপি সদস্যকে ৩০ হাজার টাকা হারে ঘুষ নিয়ে বিভিন্ন পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকে যোগদান দেওয়া হয়। এই ৭ জনের মধ্যে ২জন মনিটর শহিদুলের লোক বাকি ৫ জন টিআই সদর উদ্দিনের লোক। এভাবে আনসার অফিসের দুর্নীতি পরায়ন ব্যাক্তিরা যোগসাজসে কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে যার প্রতিবাদ করার কেউ নেই।

এব্যাপারে জেলা কমান্ড্যান্ট নাজিমুজ্জামান এর সাথে অফিস টেলিফোন ও মোবাইলে কথা বললে তিনি ঘুষের রেটের কথা এড়িয়ে যেয়ে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন,অদক্ষসহ অনেকের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছেনা। ফলে একটি কুচক্রিমহল তাদের অনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে তার বিরুদ্ধে নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
টিআই সদর উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে ঘুষের কথা এড়িয়ে যেয়ে বলেন আমি কারো কাজ থেকে টাকা নেয়া হয়নি।সিপাহী মফিজ এর ১৪দিনের বেতন ও রেশন প্রসঙ্গে তিনি জানান ৩ অক্টোবর তার পাওনা রেশন দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিতে আসা লোক ও টাকা সংগ্রহ করার দায়িত্ব পালনকারী আনসার পিসি হযরত আলী সম্পর্কে বলেন সেটা তার ব্যাপার আমি তাকে প্রশিক্ষণের জন্য কোন লোক সংগ্রহ করতে বলেনি। হযরত টাকা নিয়ে থাকলে সে দায়িত্ব তার।

আনসার পিসি হযরত আলীর সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি সাংবাদিক বুঁজতে নাপেরে বলে ফেলেন এখন ৩৫ হাজারের কমে আর প্রশিক্ষণের জন্য লোক নেওয়া হবেনা। কয়েকদিন আগে এলে ৩০ হাজারে হতো। লোক দিতে হলে আর দেরী করলে টাকার অংক আরো বেড়ে যাবে।
মনিটর (মাটকর্মী) সহিদুল ইসলাম জানান এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবনা বললে আমার চাকরী থাকবেনা। তবে আনসার অফিসে টাকার লেন-দেন নতুন কিছুনা। সম্প্রতি বদলী হওয়া জেলা কমান্ড্যান্ট কেএম মনিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থনৈতিক লেন-দেনসহ লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ফলে তাকে অনাত্র বদলী করা হয়েছে।

নবাগত সদর সার্কেল অফিসার মিরাজুল ইসলাম বলেছেন, আমি নতুন এসেছি কেবল ৪/৫দিন হচ্ছে এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমি আসার আগে এপদের দায়িত্ব পালন করেন টিআই সদর উদ্দিন। তিনিই বলতে পারেন সব বিষয়ে। Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
আরো সংবাদ পড়ুন