মুন্নী সাহার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথনের রেকর্ড জব্দ করা নিয়ে রহস্য ফেনিয়ে তোলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকনের এ প্রসঙ্গে দেওয়া একটি ফেসবুক-স্ট্যাটাস পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করায় অবদান রেখেছে। আশরাফুল আলম খোকন তার ফেসবুক একাউন্টে পুরো ঘটনাকে ‘ক্যাম্পেইন’ বলে উল্লেখ করেছেন। তার এ বক্তব্য থেকে ‘মুন্নী সাহাকা-ের’ সাথে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারের সম্পর্ক স্বীকৃতি পেল বলে মনে করা হচ্ছে।

মুন্নী সাহার রেকর্ড নিয়ে সংবাদ ও আলোচনা-সমালোচনায় কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে তা গোপন রেখেই প্রধানমন্ত্রী ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি বলেন, আমি পুরো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবেই বলছি -পত্রিকাগুলোর সংবাদের অনেক মৌলিক অংশেই ভুল ছিল!এর আগে নতুনদিনের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘বিনা অনুমতিতে’ প্রধানমন্ত্রীকর রেকর্ড নিয়ে সত্য বলছে না কেউ! এক্ষেত্রে আশরাফুল আলম খোকনও পত্রিকাগুলোর সংবাদের কোন কোন মৌলিক অংশে ভুল ছিল তা না পরিষ্কার করে বরং পরিস্থিতিকে আরো রহস্যময় করে তুললেন।


আশরাফুল আলম খোকন তার স্ট্যাটাসে লেখেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুন্নী সাহার সাক্ষাতের বিষয়টি পূর্বনির্ধারিতই ছিল। সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী তার ক্যামেরাম্যানসহ রুমে ছিলেন। আরো ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও দুজন এসএসএফ সদস্য। সাক্ষাৎকার নেয়া শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওনাদের সাথে রাজনীতিসহ নানান বিষয়ে কথাবার্তা ও খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। এইসময় এসএসএফ থেকে ক্যামেরাম্যানকে ক্যামেরা বন্ধ রাখতে বলা হয়। ক্যামেরাম্যান ক্যামেরাটি বন্ধ আছে বললেও আসলে ক্যামেরাটি চালু করা ছিল এবং ক্যামেরার ফ্রেম অন্যদিকে তাক করা ছিল। ক্যামেরাম্যান এটা ভুলবশত করুক আর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই করুক আমার সন্দেহ হওয়াতে আমি ক্যামেরাম্যানকে আবারও জিজ্ঞেস করি ক্যামেরাটি বন্ধ করা হয়েছে কি না। ক্যামেরাম্যান আমাকেও বলল ক্যামেরা বন্ধ আছে। আমার সন্দেহ দূর না হওয়াতে আমি নিজেই ক্যামেরাটি চেক করে দেখতে পাই যে ক্যামেরাটি চালু ছিল এবং আমি নিজ হাতেই ক্যামেরাটি বন্ধ করি। এবং ঘটনাটি এসএসএফকে বলি। ইতিমধ্যে দশ মিনিট অতিবাহিত অর্থাৎ এতক্ষণের এই ব্যক্তিগত আলোচনাগুলোও রেকর্ড হয়েছিল। এরপর এসএসএফ যা করার তাই করেছে।


মিডিয়া পাড়ায় প্রচলিত আছে যে, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ট একাধিক সংবাদকর্মী মুন্নী সাহার প্রতিদ্বন্দ্বী। মুন্নি সাহাকে বেকায়দায় ফেলতেই প্রধানমন্ত্রীর সফরসংগীদের মধ্য থেকেই ‘ষড়যন্ত্র’ করা হয়েছে বলে এখন কথা উঠেছে। এমনও বলা হচ্ছে, মুন্নী সাহাকে বিতর্কিত করতেই সংশ্লিষ্ট ক্যামেরাপার্সনের নাম না নিয়ে মুন্নী সাহাকেই সামনে তুলে ধারা হয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট সবাই জানেন, ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় হোক ক্যামেরাপার্সন এই ঘটনার জন্য দায়ী কিন্তু সে দিকে না গিয়ে মুন্নী সাহারই বদনামী করার চেষ্টা হয়েছে। ‘বিনা অনুমতিতে’ প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথন রেকর্ড নিয়ে নানান বক্তব্য মিডিয়ায় আসতে শুরু করার পর অনেকেই আশঙ্কা করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর স্যুইটের ঘটনা ঘরের বাইরে নিয়ে আসাও তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাংবাদিকদের ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

নতুনদিন
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
আরো সংবাদ পড়ুন