ঝিনাইদহ জেলায় গত সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন ঘটনায় তিন স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৮ জন খুন হয়েছে। এসব হত্যাকান্ডের মধ্যে রয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ২ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪ জন, কোটচাঁদপুর উপজেলায় ১ জন ও শৈলকুপা উপজেলায় ১ জন। এদের বেশির ভাগ ব্যক্তিকে
কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর মাসে কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর রেল লাইন সংলগ্ন একটি আখ ক্ষেত থেকে দুলাল চন্দ্র দে নামে এক ষাটোর্ধ ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে লাাশ ফেলে রেখে যায়। একই দিন কোটচাঁদপুর উপজেলার পাশপাতিলা গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী মিতা খাতুনের (১৫) গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৮ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কামার কুন্ডু গ্রামের ইজিবাইক চালক শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়।
২৪ সেপ্টেম্বর শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র আল মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করে একটি বাগানের মধ্যে ফেলে রাখে সন্ত্রাসীরা।
২৫ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছী ইউনিয়নের নওদা গ্রামে ৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধু জলি বেগমকে পরিবারের সদস্যরা পিটিয়ে হত্যা করে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ ছিল।
২৬ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে শাহিনুর রহমান। আসার ৩ দিন পর শাহিনুর রহমানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে রেল লাইনের পাশে ফেলে রাখা হয়। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায়।
২৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহের ভিটস্বর গ্রামে পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবর তার ভাবী রোখসানা বেগমকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
৩০ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়ায় কাঠাল গাছের পাতা কাটাকে কেন্দ্র করে চাচাত ভাই ফেরদৌসের শাবলের আঘাতে শাহ পরান নিহত হয়।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসেও বিভিন্ন ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলায় ৮ জন হত্যাকার শিকার হয়।
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
আরো সংবাদ পড়ুন