আগামী ১০ অক্টোবর থেকে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু। এবার যশোর জেলায় ৬১৭টি মপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস রতন জানিয়েছেন, যশোর জেলার ৬১৭টি পূজা মন্ডপের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে ১২৯টি মন্ডপ। এছাড়া শার্শায় ৩০টি, অভয়নগরে ১১৭টি, বাঘারপাড়ায় ৮২টি, মণিরামপুরে ৮৪টি, কেশবপুরে ৮০টি, ঝিকরগাছায় ৪৯টি ও চৌগাছা উপজেলায় ৪৫টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারিভাবে ২৫৬ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে বরাদ্দকৃত চাল দেয়া হবে স্থানীয় পূজা উদযাপন পরিষদের কাছে। ইতোমধ্যে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ সকল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করে সার্বিক বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সব হলো প্রতিটি পূজা মন্ডপের সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ, পূজা মন্ডপে নারী ও পুরুষের পৃথক আসা যাওয়ার পথ রাখতে হবে। পরিচয়পত্র কার্ডধারী নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা তদারকি করা হবে। আতসবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না। আগামী ১৪ অক্টোবর সোমবার রাত ১২টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। এছাড়া পূজা মন্ডপ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিকল্প আলোর ব্যবস্থা করা, ভক্তিগীতি ও দেশাত্ববোধক সংগীত বাজাতে হবে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, যশোর হলো অসাম্প্রদায়িকতার জেলা। আশা করি শারদীয় দুর্গোৎসবে এখানে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। প্রশাসন ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় করে সকল পূজা মন্ডপে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
আরো সংবাদ পড়ুন